মোবাইল ব্যাংকিং বলতে মোবাইল টেলিযোগাযোগ ডিভাইসের সাহায্যে ব্যাংকিং এবং আর্থিক পরিষেবার ব্যবস্থা ও সুবিধাকে বোঝায়। প্রস্তাবিত পরিষেবাগুলির মধ্যে ব্যাংক এবং শেয়ার বাজারের লেনদেন পরিচালনা, অ্যাকাউন্ট পরিচালনা এবং কাস্টমাইজড তথ্য ব্যবহার করার সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বাংলাদেশে ২০১০ সালে প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা শুরু হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রয়েছে ১৫ টি।
প্রথেমে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড তাদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে এবং তাদের পরিচালিত মোবাইল ব্যাংকিং সেবার নাম রকেট।
আরও দেখুন : সহজে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম কার্যকরী উপায় ২০২৩
রকেট আসার পরপরই ২০১১ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের অঙ্গ সংগঠন হিসাবে দ্বিতীয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা হিসাবে বিকাশ চলে আশে, যে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারকারী এখন ৫ কোটির বেশি। বর্তমানে ( ২০২১ ) দেশের সর্বত্র শহর, নগর, গ্রামে-গঞ্জে সব যায়গায় বিকাশ সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
মোবাইল ব্যাংকিং কি সুবিধা ও অসুবিধা কি চলুন জেনে নেই।
মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে একজন গ্রাহক যেসব সুবিধাগুলো পেতে পারেন তা নিচে তুলে ধরা হলো:
২৪ ঘণ্টা, ৩৬৫ দিন একাউন্টে লগইন করার সুবিধা। গ্রাহক চাইলে যেকোনো মুহূর্তে একাউন্টে লগইন করতে পারবে।
একাউন্টের ব্যালেন্স জানা।
এক একাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠানো। তবে বাংলাদেশে এ সুবিধা শুধু একই ব্যাংকের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
নিজের একাধিক একাউন্টের মধ্যে টাকা পাঠানো যায়।
ইউটিলিটি বিল। যেমন– বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফোন, পানি ইত্যাদি পরিশোধ করা যায়।
একাউন্টের আয়-ব্যয়, উত্তোলন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারা।
চেক বই এর জন্য আবেদন ও চেক এর পেমেন্ট বাতিল করা যায়।
সুদের হার, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার ইত্যাদি জানা যায়।
মোবাইল ব্যাংকিং এর অসুবিধা
অনেক সময় পাসওয়ার্ড অন্যে জানার ফলে একাউন্টের গোপনীয়তা বজায় রাখা সম্ভব হয় না। এছাড়া কর যারা ফাঁকি দেয় তারা এ ব্যাংকিং এর সুবিধা বেশি ভোগ করতে পারে। সুতরাং সুবিধার ন্যায় অসুবিধা থাকলেও আধুনিক সমাজে মোবাইল ব্যাংকিং এর ভূমিকা অনেক গুরুত্ব বহন করে।