আপনি যে একজন মানুষ সেটি পুরো পৃথিীকে জানিয়ে দেয়ার একমাত্র উপায় হলো জন্মনিবন্ধন ।
যা কিছু রযেছে:
- কি থাকছে নতুন নিয়মে?
- জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?
- একজন ব্যক্তি কি একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করতে পারবে?
ঘরে বসে করে ফেলনু জন্ম নিবন্ধন নতুন নিয়মে ২০২৩
যেহেতু অনেক শিশুর পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন ছাড়া কোনো নতুন নিবন্ধণ করা হয় হয় না যার ফলে অনেক শিশু বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আর এই কথা মাথায় রেখেই ২০২৩ এ নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার।
এখন থেকে আর লাগবে না পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন আপনি চাইলে দিতেও পারেন আবার ন দিলেও হবে।
একটি শিশুর নাম ও সে কোনো দেশে থাকে সেটি নিশ্চিত করতে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন রেজিস্টার করতে হবে । জন্ম নিবন্ধন প্রতিটি শিশুসহ সবার একটি রাষ্ট্রীয় অধিকার। এটি নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।
আরো দেখুন:
জন্ম নিবন্ধন বিষয়ে খুঁটিনাটি আলোচনা করা হয়েছে নীচে।
জন্ম নিবন্ধন করতে কত টাকা লাগে?
জন্মের ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) দিন পর্যন্ত কোন টাকা লাগবে না।
জন্মের ৪৫ দিন থেকে ৫ বৎসর বয়স পর্যন্ত নিবন্ধন করতে লাগবে মাত্র ২৫ টাক।
আবার ৫ বছর পর যদি কেউ জন্ম নিবন্ধণ করতে চাই সে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির জন্য নিবন্ধণ ফি ৫০ টাক করা হয়েছে।
আবার যদি আপনার জন্ম নিবন্ধণ এর ভুল থেকে থাকে তাহলে জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য আপনাকে গুনতে হবে ১০০ টাকা।
এছাড়া জন্ম তারিখ, নাম, পিতার ও মাতার নাম, সহ ঠিকানা ইত্যাদি অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে।
তবে আজকাল বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি জন্ম নিবন্ধণ এর ও প্রয়োজন পরে যেহেতু আগের দিনের পুরাতন জন্ম নিবন্ধণ টি শুধু বাংলা তাই ২ ভাষায় আসল কপি সংশোধনের পর সনদের কপি সরবরাহ ফ্রী সম্পূর্ণ ফ্রি করা হয়েছে।
আবার বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় সনদের নকল সরবরাহ ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যদিও জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য সরকার নির্ধারিত ফি এগুলা হলেও আমদের দেশের কিছু অসাধু ব্যাক্তি এর চেয়ে বেশি টাকা দাবি করে থাকে।
একজন কয়টি জন্ম নিবন্ধন করতে পারবে?
যদি কেউ ২ বা আরো বেশি বার জন্ম নিবন্ধণ করতে চায় তবে সেটি করতে পারবে না কারণ একাধিকবার জন্ম নিবন্ধন করা অপরাধ।
যদি অনলাইনে একের অধিক জন্ম নিবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই ডুপ্লিকেট কপি বাতিল মুছে ফেলা দরকার। তা না হলে ভবিষ্যতে ঝামেলায় পরতে পারেন।
কিভাবে ঘরে বসে জন্ম নিবন্ধন করবেন প্রথমে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য যেকোনো কমপিউটার বা মোবাইল থেকে https://bdris.gov.bd/
প্রবেশ করুন।
এরপর আপনি আপনার সঠিক তথ্য দিয়ে নিচের দিকে থাকা পরবর্তী এই বাটনে ক্লিক করুন। এবং পরবর্তী ধাপ অনুসরন করুন। এছাড়া আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত কোনো সমস্যার সমমুখীন হন তাহলে কমেন্ট করে আমাকে বলতে পারেন আমি সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসবো।