কিভাবে লাউ গাছের পরিচর্যা করবেন | Kivabe Lau Gacher poricorja korben

আজকের বিষয় লাউ গাছের বিভিন্ন রোগ এর লক্ষণ ও প্রতিকার এছাড়া আরো জানবো লাউ গাছের চাষ করার নিয়ম ও পদ্ধতি সম্পর্কে।



তাহলে চলুন জেনে নেই লাউ গাছের চারা তৈরির পদ্ধতি :


আপনাকে কিছু ছোট পলিথিন ব্যাগে ১ ভাগ পচা গোবর ও ১ ভাগ দোঁআশ মাটি নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং হালকা ইউরিয়া সারের মিশ্রিত পানি দিয়ে পাঁচদিন রেখে দিতে হবে।

লাউ গাছের পরিচর্যা



পাঁচ দিন পর এবার প্রতিটি পলিথিনে ১টি করে বীজ বপন করতে হবে। আর অব্যসই বীজ বপনের আগে ১২ ঘণ্টা র মতো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ও তারপর সেই পলিথিনে বপন করতে হবে।

আরো দেখুন :

আপনি বীজ তো বপন করে নিলেন এখন আপনাকে জানতে হবে লাউ গাছের চাষ প্রণালি:

এবার পুরাতন একটি হাফ ড্রামে তিনটি ছিদ্র করতে হবে এবং ১ দশমিক ৫ ইঞ্চি করে প্রতিটি সিদ্র এর আয়তন। তারপর ছিদ্রের ওপর ইটের সুরকি বসাতে হবে। মনে রাখতে হবে যেনো ২ ভাগ বেলে মাটি দো-অাঁশ মাটির সঙ্গে ১ ভাগ গোবর থাকে, আর শূন্য দশমিক ৫ কেজি সরিষার খৈল, ৫ কেজি কচুরিপানা পচা সহ , ৫০ গ্রাম টিএসপি, ২৫ গ্রাম ইউরিয়া একসঙ্গে মিশিয়ে সেগুলো সাতদিন রাখতে হবে।

তারপর আপনাকে চারা গুলো রোপণ করতে হবে। এবার গাছ বড় হয়ে গেলে যেনো ঠিকমতো উপরের দিকে বাইতে পারে সে জন্য অবশ্যই একটি মাচার ব্যবস্থা করতে হবে।

আবার যদি কেউ লাউ ছাদের মধ্যে শুইয়ে দিতে চায় তবে নারকেলের ছোবড়া বিছিয়ে নিতে হবে ছাদের উপরে ও তার ওপর শুইয়ে দিতে পারেন। জেনে থাকা ভালো লাউ একটি পানিপ্রিয় গাছ।
তাই বাড়ীর অতিরিক্ত মাছ মাংস ধোয়া পানি মাঝে মধ্যে গাছের গোড়ায় দিলে উপকার পাওয়া যায়। অবশ্যই নিয়মিত প্রতিদিন সকাল ও বিকালে পানি দিতে হবে। কারণ ছাদে থাকা সকল গাছে র পানি একটু বেশি প্রয়োজন হয়।

আরো দেখুন: 

কয়েকটি লাউয়ের ভালো জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু জাত :

হাইব্রিড_ মার্টিনা, ডায়না, বর্ষা ও তাফসি।
গ্রিন ডায়মন্ড, বারি লাউ ও ক্ষেত লাউ সহ আরো অনেক।

এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সবজি বাড়ির ছাদে চাষ করা সম্ভব যেমন শিম, পেঁপে, টমেটো, ঢেঁড়শ, পুঁই শাক।

খেয়াল রাখতে হবে:

অবশ্যই প্রতি সপ্তাহে একবার করে হলেও ড্রামের মাটি হালকা ভাবে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দিতে হবে। আর আপনার লাউ গাছটি যাতে পর্যাপ্ত পরিমান আলো ও রোদ পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মনে রাখবেন গাছের সঠিক পরিচর্যা নিশ্চিত করতে আপনাকে যখন লাউ গাছ একটু বড় হবে তখন গাছের গোড়া থেকে একটু দূরে সামান্য করে ইউরিয়া সার ব্যাবহার করতে হবে। এছাড়া সরিষার খৈল পচা পানি পাতলা করে গাছে ১৫-২০ দিন পর পর নিয়মিত দিতে হবে ।

চলুন জেনে আসি লাউ গাছের ফলন বৃদ্ধি উপায় ও কৌশল :


আপনাকে ভোর বেলায় সদ্য ফোটা ছেলে ফুল ছিঁড়ে পুং রেণু সমৃদ্ধ পুং কেশর রেখে শুধু পাপড়ি গুলো ছিঁড়ে ফেলতে হবে। তারপর পুং রেণু মেয়ে ফুলের গর্ভ মুণ্ডে হালকা ভাবে সামান্য একটু ঘষে দিতে হয়।

আরো দেখুন: 

এতে করে মেয়ে ফুল নিষিক্ত হয়ে যাবে আর তখন গাছে ফল ধরা শুরু হবে।তবে একটি ছেলে ফুলের পুং কেশর দিয়ে আপনি ৬ থেকে ৭টি মেয়ে ফুলের গর্ভ মুণ্ডে নতুন পরাগায়ন করাতে পারবেন।

লাউ গাছে সার প্রয়োগ পদ্ধতি


লাউ চাষের জমি তৈরির সময় আপনাকে হেক্টর প্রতি ৫০-৬০ টন গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। আর হেক্টর প্রতি ৫০ কেজি নাইট্রোজেন ও ৬০ কেজি ফসফরাস দিয়ে দিতে হবে।আপনার হেক্টর প্রতি ৪-৬ কেজি বীজের প্রয়োজন হতে পারে। আপনাকে ৪x১ মিটার পর পর মাদা করে বীজ লাগাতে হবে।

চলুন জানি লাউ গাছের গোড়া পচা রোগ ও ক্ষতির ধরণ 

প্রাথমিক ভাবে চারার গোড়া বা শিকড় পচে ঢলে পড়ার মাধ্য দিয়ে এ রোগের লক্ষণ বোঝা যায়। আক্রান্ত গাছের চারার গোড়ার চার দিকে বাদামি রঙের পানি ভেজা দাগ দাগ দেখা যায়।

আক্রমণের দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে গাছটি মাটিতে ঢলে পড়ে ও আক্রান্ত জায়গায় তুলার মতো সাদা মাইসেলিয়াম দেখা দেয় ও অনেক সময় সরিষার মত দেখতে ছত্রাকের অনুবীজ দেখতে পাওয়া যায়।

উপকার পেলে মতামত লিখুন আর আমাকে উৎসাহিত করুন ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post